Wednesday 31 July 2013

একই দিনে স্বওম (রোজা) ও ঈদ


বইটি মোট ৪৬ পাতার। তন্মধ্যে প্রথমে কোরআন ও সহীহ হাদিস দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে যে সারা বিশ্বে রোজা ও ঈদ পালন হতে হবে একই দিনে। বইটিতে রয়েছে ১২ টি প্রশ্নের উত্তর যেই প্রশ্নগুলো সাধারণ মানুষের মনে আসে যে কেন আমাদের একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন করতে হবে। যারা বলে একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন করতে হবে না তাদের ৯ টি পাল্টা প্রশ্ন করা হয়েছে।

Tuesday 30 July 2013

আলোচনাঃ চাঁদ নিয়ে সমস্যার সমাধান


সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ বর্তমানে বাংলাদেশে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশী আলোচনা হচ্ছে আলেম সমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তা হচ্ছে চাঁদ নিয়ে। কোন চাঁদ দেখে সিয়াম রাখব বা ঈদ করব। অনেকে এই বিষয়টি নিয়ে একে অপরকে ইসলাম থেকে খারিজ ও করা শুরু করে দিয়েছেন যা কখনই কাম্য নয়। তাই এই বিষয়ের উপর শেইখ মতিউর রহমান মাদানীর বিস্তারিত এই আলোচনাটি আপনাদের জন্য অনলাইনে দিয়ে দেয়া হল। নিজে শুনুন এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।

ডাউনলোড

 

SOURCE

পৃথিবীব্যাপী একই দিনে সিয়াম ও ঈদ


আলহামদুলিল্লাহ হির রব্বীল আ’আলামীন। ওয়াস স্বলাতু ওয়াস্ব সলামু আ’লা রসুলিহীল আমীন। মহান আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন বলেনঃ
هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاءً وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوا عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ ۚ مَا خَلَقَ اللَّهُ ذَٰلِكَ إِلَّا بِالْحَقِّ ۚ يُفَصِّلُ الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তিনিই তো সূর্যকে করেছেন তেজস্কর, আর চন্দ্রকে জ্যোতির্ময়, আর তার জন্য নির্ধারিত করেছেন অবস্থানসমূহ যেন তোমরা জানতে পারো বৎসরের গণনা ও হিসাব। আল্লাহ্ এ সৃষ্টি করেন নি সার্থকতা ছাড়া। তিনি নির্দেশাবলী বিশদ-ব্যাখ্যা করেন সেইসব লোকের জন্য যারা জ্ঞান রাখে। [সুরা ইউনুসঃ ৫]
যেহেতু আমাদের জন্য চাদ একটি তাই এর হিসাবের মাস গননাও একটি হবে এটাই নিয়ম। কিন্তু সমগ্র বিশ্বব্যাপী যেখানে একই চাদের উপর মাসের হিসাব করে সেখানে আমাদের উপমহাদেশে বিভ্রান্তির জন্য আলাদা মাস গননা করা হয় যা কুর’আন ও সহিহ সুন্নাহ পরিপন্ঠী। শুধুমাত্র উদয়স্থলের পার্থ্যক থাকার কারনে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে সিয়াম, ঈদ পালন হবে এটা মুসলিম উম্মাহের ঐক্যের এক চরম দুর্বলতা। তাই এ বিষয়ে একটি সবেষনামুলক কিতাবঃ
পৃথিবীব্যাপী একই দিনে সিয়াম, ঈদুল ফিতার আরাফা ঈদুল আযহা আশুরা পালন সম্পর্কিত সংশয় নিরসন
 - মুহাম্মাদ এনামুল হাক আল-মাদানী
বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন এখান থেকেঃ

Friday 26 July 2013

সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতওয়া (১ম পর্ব)

রমযান মাসের আগমন উপলক্ষে আমরা কিভাবে প্রস্তুতি নেব
ফাত্‌ওয়া নং - 92748
প্রশ্ন : আমরা কিভাবে রমযানের জন্য প্রস্তুতি নিব? এই মহান মাসে কোন কাজটি সর্বোত্তম?
উত্তর : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
প্রথমত :
সম্মানিত ভাই, আপনি প্রশ্নটি করে বেশ ভাল করেছেন। কারণ আপনি রমযান মাসের প্রস্তুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন যখন সিয়ামের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে বহু মানুষের ধ্যান ধারণা বিকৃত হয়েছে। তারা এই মাসকে খাদ্য, পানীয়, মিষ্টি-মন্ডা, রাত জাগা ও স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর মৌসুম বানিয়ে ফেলেছে। আর এ জন্য তারা রমযান মাসের বেশ আগ থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে এই আশংকায় যে কিছু খাদ্য দ্রব্য কেনা বাদ পড়তে পারে বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই তারা খাদ্য দ্রব্য কিনে, হরেক রকম পানীয় প্রস্তুত করে এবং কী অনুষ্ঠান দেখবে আর কী দেখবে না তা জানতে স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর গাইড খোঁজ খবর করে প্রস্তুতি নেয়।
আর এভাবে তারা রমযান মাসের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে সত্যিকার অর্থেই অজ্ঞ থেকে গেল। তারা এ মাস থেকে ‘ইবাদাত ও তাক্ব্ওয়া সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করে নিল এবং একে তাদের উদরপূর্তি ও চক্ষুবিলাসের সামগ্রীতে পরিণত করল।

Sunday 14 July 2013

রামযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল



লেখকঃ আব্দুল হামিদ ফাইযী আল মাদানী
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ সহীহ দলীলকে ভিত্তি করে রমযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল জানার জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বই। মুসলিমদের জন্য রমযান অত্যন্ত গুরুত্তপুর্ন মাস। এতে একজন মুসলিম রমযান মাসকে কিভাবে ফলপ্রসূ করবে তার মাসআলা-মাসায়েল ও ফাযায়েল সংক্রান্ত যে সকল বিষয়াদির প্রয়োজন অনুভব করে সেগুলো খুব সুন্দরভাবে আলোচিত হয়েছে।

Thursday 11 July 2013

চাঁদ উঠার বিভিন্ন উদয়স্থল সংক্রান্ত মতভেদ কি বিবেচনাযোগ্য? এ ব্যাপারে অমুসলিম দেশে মুসলিম কমিউনিটির অবস্থান


প্রশ্ন : আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কিছু মুসলিম ছাত্র। প্রতি বছর রমযান মাসের শুরুতে আমাদের একটি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় যা মুসলিমদের তিনটি দলে ভাগ করে দেয় :
১. এক দল, তারা যে দেশে বাস করে সে দেশের চাঁদ দেখে সাওম রাখে।
২. এক দল, যারা সউদি আরবে সিয়াম শুরু হলে সাওম পালন করে।
৩. এক দল, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মুসলিম ছাত্র ইউনিয়নের খবর (নতুন চাঁদ দেখার) পৌঁছলে সাওম রাখে যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে চাঁদ দেখার দায়িত্ব পালন করে। তারা (সেই মুসলিম ছাত্র ইউনিয়ন) দেশের কোন স্থানে চাঁদ দেখলে বিভিন্ন সেন্টারসমূহে তা দেখার খবর পৌঁছে দেয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত মুসলিমরা একই দিনে সাওম পালন করে যদিও এই শহরগুলো অনেক দূরে দূরে অবস্থিত।
এক্ষেত্রে সিয়াম পালন, চাঁদ দেখা ও এ সংক্রান্ত খবরের ব্যাপারে কারা বেশি অনুসরণ যোগ্য?
আমাদের এ ব্যাপারে দয়া করে ফাত্‌ওয়া দিন, আল্লাহ আপনাদেরকে পুরস্কৃত করুন, সাওয়াব দিন।

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদিস : শিক্ষা ও মাসায়েল (১ম পর্ব)



সংকলন: ইবরাহিম ইব্‌ন মুহাম্মাদ আল-হাকিল
অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব
 
ভূমিকা
সকল প্রশংসা দু’জাহানের পালনকর্তা আল্লাহ তাআলার জন্য, এবং দরূদ ও সালাম সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূলের ওপর।
অতঃপর: রমযান মাস এ উম্মতের এক বিশেষ মাস। এ মাসে তারা ইবাদত, আমল ও কল্যাণকর কাজে মনোযোগী হয়, কুরআন, হাদিস ও উপদেশ শ্রবণ করে, তাই অনেক আলেম এতে বিশেষ দরস ও মজলিসের ব্যবস্থা করেন, যা সাধারণত ফজর ও এশার পর প্রদান করা হয়। কতক দরস হয় সংক্ষেপ, আবার কতক হয় দীর্ঘ ও বিস্তারিত। কতক দরস ওয়াজ-উপদেশে সীমাবদ্ধ থাকে, আবার কতক থাকে মাসআলা-মাসায়েলে কতক দরস হয় শিক্ষা ও আদর্শের ওপর, আবার কতক হয় আমল ও ফযিলতের ওপর। কেউ কুরআন-হাদিসে সীমাবদ্ধ থাকেন, কেউ তাতে আরো বৃদ্ধি করেন ইত্যাদি। আমি পূর্ব থেকে সিয়াম, ইতিকাফ, রমযানের কিয়াম ও লাইলাতুল কদর বিষয়ে হাদিস জমা করতে ছিলাম, সাথে লিখতে ছিলাম কতক ফায়দা ও মাসায়েল, যেন বিশেষভাবে দ্বীনের দায়ি ও মসজিদের ইমামগণ এবং সাধারণভাবে সকলে উপকৃত হয়। অতঃপর এসব হাদিস, শিক্ষা ও মাসায়েলসহ সুন্দরভাবে বিন্যাস করে খুব সংক্ষিপ্ত ত্রিশটি দরস তৈরি করি, যা ফজরের পর মসজিদে পেশ করার উপযোগী। এগুলোকে আমি বেজোড় সংখ্যায় রেখেছি, যেমন ১, ৩, ৫, ও ৭নং দরসসমূহ। আর ত্রিশটি দরস তৈরি করি একটু দীর্ঘ ও বিস্তারিত, যা এশার পূর্বে মসজিদে পেশ করার উপযোগী। এগুলোকে আমি জোড় সংখ্যায় রেখেছি, যেমন ২, ৪, ৬ ও ৮নং দরসসমূহ কারণ মসজিদের ইমামগণ রমযানে এ দু’টি সময়ে দরস দিয়ে থাকেন। এ দরসগুলো তৈরিতে আমি নিম্নের পদ্ধতি অনুসরণ করেছি:

আল্লাহ তাআলা কোথায় আছেন ?





লেখক : আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান
সম্পাদনা: চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ
সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
আল্লাহ তাআলা আমাদের রর ও ইলাহ। একমাত্র তিনিই ইবাদত আরাধনার উপযোগী। সে হিসেবে তিনি কোথায় সে বিষয়ে সম্যক ধারণা অর্জন আমাদের জন্য ওয়াজিব, যাতে আমরা তাঁর প্রতি একাগ্রচিত্তে ধাবিত হতে পারি, যথার্থরূপে ইবাদত-বন্দেগি পালনে সক্ষম হই।
আল্লাহ কোথায় আছেন? এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর হল তিনি আরশের উপরে আছেন। আরশের উপরে থাকা আল্লাহ তাআলার একটি অন্যন্য সিফাত, আল কোরআন ও সহিহ হাদীসে এ বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে, যেমন রয়েছে আল্লাহ তাআলার শ্রবন করা, দেখা, কথা বলা, অবতীর্ণ হওয়া এবং এ জাতীয় অন্যান্য সিফাতসমূহ। সালাফে সালেহীনদের আকিদা আর মুক্তিপ্রাপ্ত দল বা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত এ আকিদাই পোষণ করেন কোনোরূপ পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সৃষ্টির সাথে তুলনা ব্যতীত। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেন:
لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ ﴿الشوري11﴾
তাঁর মত কিছু নেই আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।(সূরা শুরা,৪২: ১১ আয়াত)